প্রকাশিত: ০৪/১০/২০১৬ ৭:৩৭ পিএম

এম আমান উল্লাহ আমান::received_966163356827509

টেকনাফ পৌর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে আবার অভিযান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। ৪অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে টেকনাফ পৌর কর্ততৃপক্ষের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করেন। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ১০ প্রতিষ্ঠানকে মামলার অধীনে ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দুপুরে অভিযানে শুরুতে পৌরসভার শাপলা চত্বর, অলিয়াবাদ থেকে পুরাতন বাস ষ্টেশন পর্যন্ত সওজ ও সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমি দখল করে নির্মাণ করা প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে পৌর কর্তৃপক্ষ, মডেল থানা পুলিশ, টেকনাফের সচেতন মহল, সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
উচ্ছেদ অভিযান প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন সীমান্ত শহর হিসাবে পর্যটকদের জন্য টেকনাফ খুব পরিচিত নাম, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর পর্যটক টেকনাফে আসলেও পৌর শহরের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, সড়কের উপর বাজর, অপরিকল্পিত নগরায়ন, অনুন্নত জিরু পয়েন্ট দেখে দিন দিন গুরুত্ব হারাচ্ছে টেকনাফ। পর্যটক আর্কষণে সওজ এর জমি দখল করে নির্মিত দোকান -পাট, জনসাধারণের চলাচল বাধা সৃষ্টি করা শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারি জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং আগামীতে কেউ অবৈধ দখলে আসলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে উচ্ছেদ অভিযান দেখে অনেকে মন্তব্য করে বলেন, আজকের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন টেকনাফ শহর কালতো আবার ব্যঙ্গের ছাতার মতো অবৈধ স্থাপনা গজে উঠবে। গত ১৮ আগষ্ট সহকারী কমিশনার ভূমি জাহেদ ইকবাল দূর্দান্ত অভিযান করার দেড় মাসের মাথায় আবার আগের মত হয়ে যায়। এ পর্যন্ত অনেক বার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে কিন্তু কয়েক দিনের মাথায় আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।
অপরদিকে কিছু পথচারী মন্তব্য করে বলেন,দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র টেকনাফ পৌরসভার সৌন্দর্যহানীর প্রধানস্পট জামেয়া মার্কেটের সামনে অবৈধভাবে স্থাপিত মাছ-তরকারীর বাজার টি একদম নিরাপদই রয়ে যাচ্ছে, সেই মাছ-তরকারীর বাজারটি সরিয়ে কোথায় নেবে, কখন নেবে, কে নেবে তার বাস্থব কোন পরিকল্পনা নেই।এবং কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্থায়ী বাস টার্মিনাল থাকলেও কার্যত তা শুধু ট্রাক টার্মিনালে ব্যবহৃত হচ্ছে। দূরপাল্লার সকল বাস ও নোয়া, সি এন জি এবং টমটম পৌরসভার মূল স্থানে অবস্থান করে যানজটের বিষ ফোড়ায় পরিণত হয়েছে।যেন দেখার কেউ নেই। এসব বিষয় নিয়ে দেখবাল করা ও পরিকল্পনা করার দায়িত্ব আসলে কার তাও সাধারণ মানুষ বুঝে উঠছেনা। সচেতন মহলের দাবী টেকনাফ পৌরসভায় ময়লা পরিষ্কার করে প্রধান সড়কের দুপাশে ফুল গাছ রোপন,অলিয়াবাদ শাপলা চত্ত্বর ও বাস ষ্টেশন ফোয়ারা সংস্কার,লাইটিংসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন বৃদ্ধি হলে টেকনাফ পৌরসভা হবে দেশের অন্যান্য পৌরসভার চেয়ে সাস্থ্যসম্মত সৌন্দর্যময় নগর মডেল পৌর এলাকা।

পাঠকের মতামত

পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজার-কুয়াকাটা পরিচ্ছন্ন রাখতে পরিবেশ উপদেষ্টার নির্দেশ

আসন্ন পর্যটন মৌসুমে দেশের প্রধান পর্যটন এলাকা কুয়াকাটা ও কক্সবাজারের পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার ...

কক্সবাজারসহ পাঁচ জেলায় পদযাত্রায় নামছে এনসিপি, হামলার শঙ্কা

চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় পদযাত্রা নামছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আগামীকাল শনিবার (১৯ জুলাই) কক্সবাজারে পদযাত্রার ...

মিয়ানমারের চোরাই ১১টি মহিষ ১১লাখ ৫০হাজার টাকায় নিলামে বিক্রয়

মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে চোরাইপথে পাচারকালে কক্সবাজার উখিয়ার সীমান্ত পয়েন্ট থেকে ৬৪ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ...